বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গত ছয় মাসে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাংয়ের অপহরণের মতো অপরাধ বেড়েছে আশঙ্কাজনকভাবে। পুলিশের হিসেবেই আগের চেয়ে অপরাধ বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ। এ ছাড়া এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাসীদের আধিপত্যের লড়াইয়ে আতঙ্কিত নগরবাসী। পুলিশি তৎপরতা কমায় অপরাধ বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশের অপরাধ পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, গত ছয় মাসে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাই, ডাকাতি, অপহরণ ও খুনের ঘটনা ঘটেছে ১১৮টি, যা গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ৩৪টি বেশি। এসবের মধ্যে বেশি ঘটেছে খুন ও অপহরণের ঘটনা।
এ ছাড়া দিনে দুপুরে ছিনতাই্ ও অস্ত্র দেখিয়ে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও হুমকির মতো ঘটনা চিন্তায় ফেলেছে নগরবাসীকে। তাদের অভিযোগ আগে ফাঁড়ি ও থানার টহল পুলিশের জোরালো কার্যক্রম ছিল। কিন্তু সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর পুলিশের কর্ম তৎপরতা এখনো পুরোদমে দেখা যাচ্ছে না। তাই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সহজে নিয়ন্ত্রণে আসছে না, যার সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা।
হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অ্যাপভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলছেন, ‘পুলিশ ধরতে পারছে না আসামিদের, এটা তো আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। জনগণের সাহায্যে হোক কিংবা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হোক, এসব অপরাধীকে ধরা কিন্তু পুলিশের কাছে কোনো ব্যাপার না।
এমন বাস্তবায়তায় ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছে নগর পুলিশ। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কথাও বলছে তারা। সিএমপির উপকমিশনার মো. রইস উদ্দিন বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতি মাথায় রেখেই আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা নতুন করে সাজিয়েছি।’
চট্টগ্রাম মহানগরী এলাকায় প্রায় ৮০ লাখ মানুষের জন্য রয়েছে ১৬টি থানা। এই বিশাল এলাকার জন্য পুলিশ সদস্য রয়েছে প্রায় ৭ হাজার।
0 Comments