বিয়ের দিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেত্রীর ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর ফলে ওই নেত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আজ শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র রাশেদা বেগম। এ ঘটনায় তিনি সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদা বেগম বলেন, আমার এখন বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামী আর চাচ্ছেন না আমি আর এখানে (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম) থাকি। আমি এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আমি যেদিন বাসর ঘর করবো, ওদিনই বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়েছে আমার নামে। ইমন (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন) হচ্ছে আমার ছোট ভাই, আমি তাকে আমার ছোট ভাইয়ের মতো দেখি। তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, আমি নাকি তার সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়েছি। একজন পর্দাশীল মেয়ে হয়েও আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্লেম দেওয়ার আগে একবারও তারা ভাবেনি যে তাদেরও মা-বোন আছে।
বিয়ের দিনই ভুয়া ভিডিও ভাইরাল, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- , আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ AM

বিয়ের দিনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেত্রীর ভুয়া ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এর ফলে ওই নেত্রী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। আজ শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র রাশেদা বেগম। এ ঘটনায় তিনি সদর মডেল থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রাশেদা বেগম বলেন, আমার এখন বিয়ে হয়েছে। আমার স্বামী আর চাচ্ছেন না আমি আর এখানে (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম) থাকি। আমি এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি।
তিনি বলেন, আমার স্বামীর সংসারে আমি যেদিন বাসর ঘর করবো, ওদিনই বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হয়েছে আমার নামে। ইমন (বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন) হচ্ছে আমার ছোট ভাই, আমি তাকে আমার ছোট ভাইয়ের মতো দেখি। তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, আমি নাকি তার সঙ্গে রাত কাটাতে গিয়েছি। একজন পর্দাশীল মেয়ে হয়েও আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের ব্লেম দেওয়ার আগে একবারও তারা ভাবেনি যে তাদেরও মা-বোন আছে।
মুখপাত্র রাশেদা বেগম বলেন, জুলাই আন্দোলনের কিছু নেতা নিয়মিত চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিতে জড়িত। যাদের একসময় মোবাইল ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না, তারা আজ আইফোন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমি এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছেন। এমনকি আমার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা চালিয়েছেন। জেলার আহ্বায়ক আরিফ তালুকদারসহ ১০ ব্যক্তি তার নাম ও স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছেন বলে এসময় তিনি অভিযোগ করেন।
সংগঠন নিয়ে নিজের ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাশেদা বলেন, আমি আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সক্রিয় ছিলাম। জুলাই আন্দোলনের সময় আহত কর্মীদের সেবা দিয়েছি। কখনো আর্থিক প্রলোভনে কাজ করিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রাশেদা বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মুখপাত্রের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো পদত্যাগ করিনি।
এর আগে গত ৩ জুন বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ফেসবুকে পোস্টে এ ঘোষণা দিয়েছিলেন। পোস্টে রাশেদা বেগম লিখেছিলেন, আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এবং আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্য পদত্যাগ করেছি।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের একজন হবিগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব মাহদী হাসান বলেন, রাশেদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি যদি চাঁদাবাজির কোনো প্রমাণ আমাদের বিরুদ্ধে দেখাতে পারেন, তাহলে অবশ্যই আমাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
0 Comments